১৯৯৫ সালেন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে কবি, কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার সৈয়দ হকের এই সাক্ষাৎকারটি তার গুলশানের বাসায় গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রকাশিত হয়েছিল অধুনা বিলুপ্ত বাংলাবাজার পত্রিকায়। অন্তরকথনের পাঠকের জন্য অগ্রন্থিত এই সাক্ষাৎকারটি পুনঃপ্রকাশ করা হলো।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজু আলাউদ্দিন ও ব্রাত্য রাইসু
সৈয়দ শামসুল হক : কথা বলতে চাও, নাকি?
ব্রাত্য রাইসু : হ্যাঁ, কথাই তো সব।
হক : তো বলো তুমি কি জিজ্ঞেস করবে? ব্রাত্য রাজু কে শুরু করবে?
রাজু আলাউদ্দিন : আচ্ছা হক ভাই, এখন আপনি কবিতা কম লিখছেন আগের তুলনায়, এটা কি উপন্যাস বা গদ্যের চাপ বেশি বলে?
হক : কোনো কিছু কম লেখা বেশি লেখা এটা কোনো প্রশ্নই হয় না, রাজু । কারণ আমি তো অনেক কিছুই লিখি; কবিতা লিখি, গল্প লিখি, নাটক লিখি, উপন্যাস লিখি।
রাইসু : চিঠি বোধহয় লেখেন না?
হক : চিঠি লেখার অভ্যেস খুব কম আমার। এটা সেইভাবে দেখা যাবে না যে কোনটা কম লিখছি, কোনটা বেশি লিখছি। কারণ তালিকা করে তো আর লেখা যায় না। ওরকম প্ল্যান করেও লেখা যায় না যে সপ্তাহে একটি কবিতা লিখবো, বছরে তিপ্পান্নটি, সপ্তাহে তিপ্পান্নটি কবিতা চাইই,একটি নাটক হতেই হবে–তা না। এটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। কবিতা কম লিখছি, এটা ঠিক না। বরঞ্চ যদি বিরতিহীন কাজের কথা বলো, তা হলে কবিতার কাজটাই চলে বিরতিহীনভাবে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো শব্দ বা শব্দগুচ্ছ, কখনও পংক্তি, কখনও একাধিক পংক্তি, কখনও পুরো স্তবক, এটা একেক দিন একক রকম। প্রায় প্রতিদিনই একটা–
রাইসু : ভাবনা চলে?
হক : আমি যাকে বলি করোটির ভেতরে।
রাইসু : করোটির ভিতরে…হ্যাঁ হ্যাঁ, অপেক্ষা করতে ছিলাম আপনার করোটি’র জন্য।
হক : একেবারে করোটির ভেতরে উড্ডীন থাকে।
রাইসু : আচ্ছা এটা ‘করোটি’ কেন বলেন?
হক : ‘করোটি’ একটা এক্সপ্রেশন হিসেবে ব্যবহার করি, সেটা ঠিক।
রাইসু : চাঁছাছোলা জিনিস।
হক : না, এটা থিংকিং প্রসেস। করোটির যে অর্থটা তোমরা জানো যে করোটি হচ্ছে স্কাল, এটাকে আমি একটা বিশেষ অভিধায় ব্যবহার করি। সেটা হচ্ছে দ্য হোল থিংকিং প্রসেস। ‘চিন্তার ভেতরে আছে’ ‘চেতনার ভিতরে আছে’ এর চেয়ে আমার মনে হয় করোটি ইজ মোর ট্যানজিবল।
রাইসু : মনে হয় যেন মানুষের মৃত্যুর পরও তার করোটিটা থাকে।
হক : এটা তুমি এখন নতুন মাত্রা দিলে। হবে ওই অর্থে ব্যবহার করি। তো যে কথাটি বলছিলাম। যে করোটির ভেতরে উড্ডীন থাকে কবিতার শব্দ, শব্দগুচ্ছ, পংক্তি। আর আমার কবিতা লেখার প্রক্রিয়াটা, এটা কিন্তু একবার বলেওছি, নিশ্চয়ই তোমাদের মনে পড়বে, সেটা হচ্ছে এই ধরনের শব্দ, শব্দগুচ্ছ, পংক্তি–এগুলো আমি ঐ টুকরো টুকরো কাগজে হাতের কাছে যখন যেখানে পাই, এই যেমন ধরো এখানে বসে আছি: ন্যাপকিন, ন্যাপকিনের উপরে এই কয়েকদিন আগে এখানে কয়েকটা পংক্তি লিখেছি। রেখে দেই এবং এগুলো জমা হতে থাকে এবং মাঝে মাঝেই আমি এগুলো নিয়ে আবার বসি।
রাইসু : কখন বসেন?
হক : যে কোনো সময়। আমার কিন্তু লেখার কোনো বিশেষ সময় নেই, কাজের বিশেষ সময় নেই। আমাকে অনেক সময় তোমরা বলো না ‘সার্বক্ষণিক লেখক’–সেই অর্থে আমি সার্বক্ষণিক লেখক। আমার কোনো বিশেষ সময় নেই যে এই সময়টায় বসে লিখছি। যেহেতু আমার কোনো বাধাধরা চাকরি নেই, জীবিকার ক্ষেত্রে বাধাধরা কোনো একটা সময় আমাকে দিতে হয় না। যদিও জীবিকা উপার্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করি, বাধাধরা কোনো সময় নেই। কাজেই আমি সর্বক্ষণই লিখতে পারি। যখন যা দরকার হয় এবং সময় হয়। তো ঐ সময় নিয়ে বসি, এবং প্রায়ই এ রকম হয় যে হয়ত ওভার এ উইক আই হ্যাভ কালেক্টেড এবাউট সিক্সটি পিসেজ…। হয়ত একটা দীর্ঘ অবসরের ভেতরে দেখছি টুকরোগুলো। তার ভেতরে হয়তো চার পাঁচটার ভেতরে একটা ঐক্য পাওয়া যায় এবং সেগুলোকে নিয়েই ভাবতে গিয়ে হয়ত একটা কবিতার প্রথমিক খসড়া দাঁড়িয়ে গেল। আমাকে কবিতা লিখতে হয় অনেক, অনেক পরিশ্রম করে। এটাকে একটা মিস্ত্রীর কাজ হিসেবে দেখি। আমি পুরো লেখাটাকেই সেভাবে দেখি। এভাবে আমার প্রায় কবিতাই লেখা। আবার একেবারে যে তৈরি বেরিয়ে আসেনি তাও নয়। সেটা অনেক সময় এ রকম হয় যে একটা কিছু নিয়ে ভাবনার প্রক্রিয়ায় এতটাই হয়ত নিমজ্জিত আছি যে যখন লিখতে বসি তখন এ রকম হয় যে একটা প্রবল জলরাশি হঠাৎ করে একটা নির্গমের পথ পেয়ে যেন দৌড়ে বেড়িয়ে যাবে; নিজেই খাল কেটে চলে যায়।
রাজু : আচ্ছা এই পর্বের কবিতাগুলো কোনগুলো আপনার?
হক : সবই তো মনে থাকে না। আমি পেছনের লেখা একেবারেই ভুলে যাই।
রাজু : এটা কি আপনার ‘পরাণের গহীন ভিতর’ বলতে পারেন?
হক : না, না, ‘পরাণের গহীন ভিতর’ ওয়াজ পিওরলি এন এক্সারসাইজ ইন ইউজিং আওয়ার ডায়লেক্টস। এটা যেমন ধরো ‘বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা’।পরিষ্কার মনে আছে এগারো দিন আমি লিখেছিলাম। এগারো দিন লেগেছিল এবং এগারো দিন আমার স্ত্রী কাজে বেরিয়ে যেতেন ভোর সাতটায়। আমি সাড়ে সাতটা নাগাদ কাজ করতে বসতাম, উনি আসতেন আড়াইটা নাগাদ। মানে প্রায়ই এ রকম হতো যে আড়াইটা নাগাদ আমি উঠছি। তারপরও বিকেলে আবার কিছু বসছি, মধ্যরাতে বসছি, শেষরাতে বসছি। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় এগারো দিন, আমার মনে আছে পুরো এগারোটা দিন আমি ‘বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা’ শেষ করেছি। এখন বোধহয় কিছু কম ৮০০ লাইন এর মত আছে, কমবেশি আটশ’ লাইনের মত। প্রথম প্রায় তেরশ’ চৌদ্দশ’ লাইনের মত ছিল। এটা পরে বাদ দিয়েছি।
রাইসু : কেন, বাদ দিলেন কেন?
হক : বাদ দিলাম কারণ লেখার একটা বিশেষ জিনিস হচ্ছে যে তুমি অনবরত সংকেত সৃষ্টি করছো। এবং সবগুলো সংকেত মিলে একটা চিত্র দাঁড়ায়। এখানেই হচ্ছে লেখার জাদু, যে সংকেত তুমি কতটা দিচ্ছো কি না আবার কম হয়ে গেল কি-না। এটা যে কোনো, যে কোনো কবিতা, যে কোনো নাটক, যে কোনো উপন্যাস। একটা উপন্যাস যখন আমরা পড়ি আমরা পড়তে পড়তে ভুলি, ভুলতে ভুলতে পড়ি। তরপরও একটা উপন্যাসের পুরোটা আমাদের ভেতরে থেকে যায়। তার মানে কি? তার মানে গিবেন এ পেসেজ, এ চ্যাপ্টার, কাপল অফ পেইজ। এবং ইউ উইল রিসিভ সারটেইন সিগনাল এবং এই সিগনালটা থেকে যায় এবং এই সিগনালগুলো জড়ো হতে হতে একটা ভাব তৈরি হয়। মানে উপন্যাসটা হচ্ছে সে রকম। না হলে তুমি একটা ৫০০ পৃষ্ঠার উপন্যাসে ৫০০ পৃষ্ঠাই তোমার ডিটেইলে মনে থাকে না। কিছু সংকেত মনে থাকে, শুধু সংকেত মনে থাকে সবকিছুর। এমনকি একটা চৌদ্দ লাইনের সনেটেও তাই। ইট ইজ দ্যা সিগনাল। এই যে তুমি বললে যে কেন বাদ দিলাম এই কেন বাদ দেয়ার প্রসেসটাই হচ্ছে…
রাজু : মানে ঐগুলো সিগনাল কনভে করে না।
হক : হ্যাঁ, সিগনাল কনভে করে না, কিংবা হয়তো দ্বিরুক্তি হয়েছে বেশি।
রাইসু : বাদ আপনি কি কি জিনিসগুলো দেন, আপনার লেখায়?
হক : এটা ঠিক এভাবে বলা যাবে না। একেক লেখাতে একেক রকম। একটা থাকে অতিকথন।
রাইসু : অতিকথন আপনি নরমালি বাদ দেন?
হক : নরমালি নয়, এটা বাদ দিতেই হবে। অতিকথন তো বাদ দিতেই হবে। কিন্তু তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক জিনিস আছে বাদ দেবার। এ প্রক্রিয়া বোঝানো যাবে না। সৃষ্টির কিন্তু ন’ ভাগই অন্ধকার। মাতৃগর্ভের মতো ন’ ভাগই অন্ধকার। অতিকথন বাদ দেবার ব্যাপরটা যে কোনো লেখকের প্রথম জীবনে শিখতে হবে।
রাইসু : অতিকথন তো আবার অনেকসময় উপন্যাস কিংবা গল্প তৈরিও করতে পারে।
হক : সেতো একটা ল্যাংড়া লোক দেখতে ভালো লাগলে মনে হবে তোমার যে নাচছে। না না, অতিকথন ইজ এ ব্যাড এলিমেন্ট। যখন তুমি এটা ব্যবহার করবে তখন সেটা আর অতিকথন থাকবে না।
রাজু : এই প্রসঙ্গে আমার যেটা মনে পড়ে..
হক : না, আমি কথাটা শেষ করে নেই। কথাটা শেষ করে নেই। লাফিয়ে উঠো না। একটা প্রশ্ন করেছো উত্তরটা শোনো। কি কি বাদ দেব, আমি বলছি যে অতিকথন একটা জিনিস, বাদ দেবার কথা বলেছি। তারপরও আছে, যেমন ধরো তুমি বিশেষ্য, বিশেষণ এই যে পদগুলো আমরা জানি–বিশেষণ কমাবে।
রাইসু : ও বিশেষণ আপনি কমান?
হক : আমি নয়, যে কোনো লেখককে কমাতে হবে।
রাইসু : আচ্ছা বিশেষণটা কি ক্ষতি করে?
হক : ক্ষতি করে মানে, তুমি তাহলে আর কি বলছো নিজে। বিশেষিত করবে বলেইতো তুমি লিখছো।
রাইসু : লেখাটা পুরোটাই একটা বিশেষণ?
হক : একটা জিনিস ভালো লাগছে বা খারাপ লাগছে, গ্লানি হচ্ছে বা আনন্দ হচ্ছে, উল্লাস হচ্ছে, এ কথাটা তুমি বলবে বলেই তো লিখছো। এখন যদি বিশেষণ দিতে দিতে তুমি লিখে যাও তাহলে দেখবে তোমার বক্তব্য কিছুই থাকছে না, বলার কিছু থাকছে না। যার জন্য কোটি লোক তোমাকে চিঠি লেখে সাহিত্য হয় না, কিন্তু একজন যখন কবি লেখেন খুব সাধারণ ভাবে:
তুমি যে তুমি ওগো সেই তব ঋণ
আমি মোর প্রেম দিয়ে শুধি চিরদিন।
অথবা ‘তম সী মম ভূষণ’–তুমি আমার অলংকার।
এই যখন বলো তখন ইউ হ্যাভ সেইড সামথিং হুইচ অ্যাডস টু দ্য ল্যাংগুয়েজ। তারপরে আরও বাদ দেবার আছে। আরও বাদ দেবার আছে। সেটা হচ্ছে যে তুমি কি বলতে চাচ্ছো। হাউ ডু ইউ লুক এট ইট। তোমার যদি একটা স্ট্যান্ড পয়েন্ট না থাকে, তোমার যদি একটা দৃষ্টিভঙ্গি না থাকে, দৃষ্টিকোণ না থাকে তুমি লিখবে কেন? তুমি আমার ভার বৃদ্ধি করবে কেন?ইউ হ্যাভ নো রাইট এ্যাবসুলটলি। তুমি তখনই লিখবে যখন তুমি মনে করবে এই যে আমরা ভাবছি এই ভাবনাটা আমি আগে কখনও কোথাও দেখিনি। ঠিক এইভাবে আমি দেখছি, এই ভাবে আমি চিন্তা করছি, হয়ত আগে থেকে থাকতে পারে সেটা অন্য কথা, কিন্তু তোমার নিজের কাছে কনভিনসড্ হতে হবে যে এটা নতুনভাবে দেখছি এবং আগে কখনও দেখিনি। নতুন বলবো না, আগে কোনো লেখায় দেখিনি, কারো লেখায় দেখিনি; তখনই তুমি লিখছো। না হলে ইউ হ্যাভ নো রাইট হোয়াট সো এভার টু লোড মি উইথ ইউর। পয়েম অর ইউর শর্ট স্টোরি অর উইথ ইউর প্লে। কারণ কোটি কোটি কোটি কোটি লেখা হচ্ছে। একজন পাঠক, তুমি তার উপর একটা ভার চাপিয়ে দেবে! এটা তো ঠিক নয়। তারপর আরও কিছু বাদ দেবার আছে। সেটা হচ্ছে যে লেখাটি দরকার কিনা আদৌ। আমারা অনেক সময় একটা ভুল করি, যে আমরা যা কিছুই লিখি, যা কিছুই লিখি মনে হয় যেন ছাপার জন্য পাঠিয়ে তিই। মাস্ট স্টপ এন্ড আস্ক যে এটা আমার ছাপবার দরকার আছে কি-না। আমি লিখতে পারি, আমার আনন্দ আছে আমার লেখায়। কিন্তু লেখাটা যে মুহূর্তে আমি প্রকাশ করি সেটা আবার অন্য পর্যায়। সে জন্যে দেখবে অনেক লেখক আছে যারা ছ’বছর দশ বছর অপেক্ষা করে; অনেকে আছে সঙ্গে সঙ্গে, অনেকের অনেক লেখা প্রকাশিতই হয় না
রাইসু : এটা এই কারণে হতে পারে হক ভাই যে কালের অগ্রবর্তী লেখকরা ঐ কালটা আসার জন্য আবার অপেক্ষা করে।
হক : অনেক কারণ । না এতবড় কথা আমি বলবো না। অনেক কারণ, যেমন জীবনানন্দ তার গল্প-উপন্যাস প্রকাশ করতে চান নি।
রাজু : জীবদ্দশায় চাননি?
হক : জীবদ্দশায় ব’লে না। উনি লেখার আনন্দে লিখেছেন। কিন্তু উনি মনে করেছেন যে ছাপব না, রাইট অর রং সেটা অন্য কথা, উই মাস্ট গিভ এ রাইটার দ্যাট মাচ যে তার সিদ্ধান্ত। কারণ লেখাটা এমন একটা কাজ যেটা তুমি না করলে তোমাকে কেই জেল-ফাঁসি দেবে না। জরিমানও করবে না, হ্যাঁ? এটা তুমি নিজের আনন্দেই করছো।
রাজু : আচ্ছা হক ভাই আপনি একটু আগে যেটা বললেন অতিকথনের ব্যাপারটা, যেটা আপনি বাদ দিতে চান। এ ব্যাপারে বোরহেসের একটা ইয়ে ছিল যে..
হক : কার?
রাজু : বোর্হেস, হোর্হে লুইস বোর্হেস। উনি বলছিলেন যে, আমি ৫ মিনিটের আয়তনের মধ্যে যেটপা বলতে পারি সেটার জন্যে কেন আমি ৫শ’ পৃষ্ঠা খরচ করবো? তার মানে এইখানে উনি অতিকথনগুলো বাদ দেয়ার কথা বলেছেন। যদি এভাবে অতিকথন বাদ দেয়ার কথা মেনে নেয়া হয় হবে তো উপন্যাস ফর্মই থাকে না আর।
হক : তুমিই সমস্যার সৃষ্টি করছো, তুমিই সিদ্ধান্ত দিচ্ছো, এটা তো হতে পারে না।
রাজু : না আপনি বলেন এই বিষয়ে।
আপনার মন্তব্য লিখুন