আমি জানি বন্দি পাখিটি কী ভাবছে একাকী!
যখন রোদ আলো ছড়ায় উপত্যকা ঢালে;
যখন বায়ু নাচে সুলম্ব ঘাসের ডগায়,
এবং নদীটি প্রবাহিত হয় চলমান কাঁচের মতো,
যখন প্রথম পাখিটি ডাকে এবং প্রথম কুঁড়িটি জাগে,
এবং যখন পবিত্র পাত্র থেকে সুগন্ধ লুট হয়ে যায়—
আমি জানি বন্দি পাখিটি কী ভাবছে একাকী!
আমি জানি বন্দি পাখিটি কেন পাখা ঝাপটায়
নিষ্ঠুর শিকগুলো তার রক্তে লাল হওয়া পর্যন্ত;
কারন তাকে ফিরে যেতে হবে তার ঠিকানায়,
সে ঝুলন্ত পাতার মতো আনন্দে সেঁটে যাবে শাখায়;
এখন দুঃখগুলো চিহ্নত এক সফেদ পুরাতন ক্ষতে,
তা আরো স্পন্দিত হয় তীক্ষèতর হুলের আঘাতে—
আমি জানি বন্দি পাখিটি কেন পাখা ঝাপটায়!
আমি জানি বন্দি পাখিটি কেন শিষ দিয়ে ওঠে,
ওহ্! যখন ডানায় তার রক্তছাপ, অন্তরে বেদনা,—
যখন আঘাত করে শিকে মুক্তির আক্ষাঙ্কায়;
সে তো গায় না কোনো আনন্দ-সঙ্গীত,
এ যে হৃদয় নিংড়ানো কোনো প্রার্থনার বাণী,
এ যে অভিশাপ ছুঁড়ে দেওয়া বিধাতার কাছে—
আমি জানি বন্দি পাখিটি কেন শিষ দিয়ে ওঠে!
আপনার মন্তব্য লিখুন