এক চিলতে আকাশ
আর কিছু শালিক ;
অনেক গুলো কাক
এই সব নিয়ে বেশ আছি-
পাশের বাড়ীর বৌটি ছাদে আসে
তুলসী মঞ্চে জল ঢালে
কয়েকটা পায়রা খুঁটে খুঁটে খায়
খুদ চাল ছড়ানো থাকে ছাদে ;-
ফেসবুকে মেয়ে বন্ধুর কথাগুলো
জমা হয়,কবিতায়- টিক্ পড়ে ;
কেউ দু-একটা কথাও লিখে।
অথচ সেই পিঙ্গল
চোখের মেয়ে
আসেনি তো !
যার প্রতিক্ষায় থাকি
দিনমান
দেখিনিও কোনদিন,
শুনিনি কণ্ঠ
সে আর কখনও
আসবে না আসবে না কোনোদিন!
তবুও কেন
এ-হৃদয় উন্মন হয় –
কেন সে আসেনা?
আমায় কি তালা বন্ধ
করে সে ,
রেখেছে নিজেরে লুকিয়ে ?
হৃদয় যারে দিয়েছি বিকিয়ে ;
মন আনমনা হয় উন্মনা হয়
কেন যে মন মাতিয়ে চলে যায় ?
কতবার ভেবেছি তাকে নিয়ে–
একবার গন্ধেশ্বরীর পাড়ে গিয়ে
হাতে হাত দিয়ে বসি
শ্রাবণ ধারার মাঝে ,
ইচ্ছে ছিলো ধানসিড়ি নদীর কিনারে
বসে বসে শালিকের,সাদা বকের খেলা দেখি
চিলের কান্না শুনে শুনে
আমরাও একবার কাঁদি
ভালোবাসার জন্যে।
কিন্তু ফেসবুকে যে মেয়েটি লুকিয়ে রয়,
নিজের গড়া হিজাবের আড়ালে?
লুকিয়ে রাখে নিজেকে !
তারে আমি কোথায় পাবো !
শুধু আঠারো বাই কুড়ির পৃথিবী
এক চিলতে আকাশ,এক টুকরো মেঘ, আমি সে ও মুঠোয় ভরা পৃথিবী।
কোলকাতা: পশ্চিম বাংলা
ভারত।
আপনার মন্তব্য লিখুন