কবিতা

পৃথিবীর গাঁথা || পিতাম্বর ধনঞ্জয় ঘোষাল

বাসর ঘরের সেই পুরাতন হৃদয়ের
সলজ্জ গোলাপী রাত্রির মতো
এখনও নবীন হয়ে আছে ।
কৃষ্ণা তিথির চাঁদের মতো গালে এসে পড়েছিল সেই ম্লান আলোর ছটা —
ক্লিওপেট্রার হাতে নীল মদ – কাঁচুলি খসিয়ে – আমার বুকে মুক্তোদানার চিহ্ন
সারা বাসর জুড়ে গোলাপের মত্ততার –
আবেশ মাখানো মায়া ময় সুর মূর্ছনার
বিহ্বলতায় মমি থেকে উঠে আমি
তূতেন খামেন–ফিরে আসা ফারাও ;
হাজার হাজার বছর মৃত্তিকার গভীরে
যে প্রেম মৃত হয়েছিল ; আজ এই ফাল্গুনী বাসরে – নিশীথের মুক্তির মতন
নতুন অরুণ কিরণে–কুমারী ঊষা ;
এই সব গাঢ় অন্ধকারে জীবনের যত অনভূতি,যত সুর ,আলাপ,তাল,লয়
প্রেম -অপ্রেম -সম্ভোগ —
এই সব কথা কবিতা হয়ে উঠে
এই সব কথা কাব্য হয়ে উঠে
এই সব জীবনের গান
হঠাৎ কোন একদিন কাব্য হয়ে
লোক গাথা হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
থেকে যায় পৃথিবীর অন্তরের অন্তঃস্থলে
পর্বতে,গুহায়, মাটির গভীরে সাগরে;
গঙ্গা, ভোলগা,নীলনদ,রাইনের সলিলে।

উখরা।বর্ধমান। পশ্চিম বাংলা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Click here to post a comment