সবুজ খন্দকার,ডেস্ক রিপোর্ট:
ঘুমের মাসি-পিসিকে ছড়ার ছন্দে না ডেকে ভালো ঘুমের জন্য সংগীতের মুর্ছনায় ডুব দেওয়া যেতে পারে।কারণ গবেষণায় দেখা গেছে সংগীত যেমন ঘুম পাড়ায় তেমনি ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টির বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীন উত্তেজক বিষয়গুলোও বাধা দিতে পারে।গবেষণায় দেখা গেছে, “অস্বস্তি এবং শারীরিক যন্ত্রণার নেতিবাচক দিকগুলো কমানোর পাশাপাশি সস্তা ঘুম পাড়ানি হিসেবে ভালো কাজে আসে সংগীত। তবে বিষয়টি কীভাবে কাজ করে সেটার পর্যালোচনাযোগ্য তথ্যের অভাব রয়েছে।” যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ শেফিল্ড’য়ের গবেষক তাবিথা ত্রাহান ও তার গবেষক দলের মতে, “যে জটিল অনুপ্রেরণা মানুষকে ঘুমানোর জন্য সংগীতের সাহায্য নেওয়ার তাড়না দেয় সেই বিষয়টি সামান্য ভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা।”পাশাপাশি বেশিরভাগ মানুষ কেনো এই পদ্ধতি কার্যকর মনে করেন সেবিষয়েও কারণ দর্শায় গবেষণাটি।এজন্য গবেষক দলটি ঘুম পাড়ানি হিসেবে সংগীতের কার্যকারিতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইন্টারনেটভিত্তিক জরিপ চালায়। এতে বিবেচনা করা হয় মানুষের সংগীতের পছন্দ, ঘুমের অভ্যাস, কোন সংগীত ঘুমাতে সাহায্য করে এবং কেনো।মোট ৬৫১ জন প্রাপ্তবয়স্ক এই জরিপে অংশগ্রহণ করেন। ঘুম আর সংগীতের মধ্যকার সম্পর্কের নতুন ভিত্তি দাঁড় করায় এই জরিপ যা বিভিন্ন বয়সের এবং সংগীতের বিভিন্ন স্বাদের মানুষের মধ্যে বিস্তৃত।
দেখা যায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ ঘুমানোর জন্য সংগীতের সাহায্য নেন। এমনকি যাদের ঘুমের কোনো সমস্যা নেই, তারাও ঘুমের মান উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত সংগীতের সাহায্য নেন।‘পিএলওএস ওয়ান’ নামক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।গবেষণা বলে, সংগীতের রয়েছে একাধিক স্নায়ুবিক ও মানসিক প্রভাব যা ঘুমের অভাব দূর করতে কার্যকর। মানসিক সমস্যা সমাধানে সংগীতের প্রভাবকে সম্পর্কযুক্ত করা গেছে রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের সঙ্গে।সংগীতে শোনার মাধ্যমে বাড়ে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের মাত্রা, পাশাপাশি প্রশান্তির অনুভূতি যা নেতিবাচক চিন্তা দূর করে।
ছবি: রয়টার্স।
আপনার মন্তব্য লিখুন