দূরে মেঘলা আকাশের বুকে ভাসতে থাকা
ছোট্ট বিন্দুর মত দেখায় যে চাতক পাখিটা,
হঠাৎ করে হারিয়ে যায়, কী যে তার যন্ত্রণা
ইচ্ছে করে তার কাছে শিখি হারাবার মন্ত্রটা।
নদীর নেইকো থামা, জোয়ার ভাটার খেলা
একূল ভেঙে ওকূল গড়া, বিরামহীন পথচলা
নিঃসঙ্গ নদী কথা বলে নিজের সাথে একাকী
ইচ্ছে করে তার কাছে শিখি একলা চলার রীতি।
পাহাড়ের আর্তনাদ, কত পাথর ভাঙার যন্ত্রণা
দাঁড়িয়ে থাকা অতন্দ্র প্রহরী, বুকে চাপা কান্না,
ঝর্ণাধারাই তো পাহাড়ের অশ্রু, কী সহ্য ক্ষমতা
ইচ্ছে করে তারকাছে শিখি একলা চলার মন্ত্রটা।
সাগরের বুকেই সৃষ্টি হয় মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়
পাড়ে আছরে পরে, ভাংগে কত ভালবাসার ঘর,
তারপর সাগর শান্ত হয়, আবার হয়ে যায় একা
হয়তো সেই বলতে পারবে একলা চলা শেখা।
সূর্য তার আলোয় চাঁদকে করে তোলে মোহময়ী
কত প্রেমের সাক্ষী, কবিতা-উপন্যাস কালজয়ী,
দিন শেষে সূর্য বড়ই একা, কেউ কী খোঁজ রাখি
সূর্যতো হতে পারে একা থাকার রহস্যের সাক্ষী।
শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে যৌবন আসে সাড়ম্বরে
জীবন সাজে, ভালবাসা ভিড় করে মনের ঘরে,
তারপর আসে পাতাঝরার দিন, খেলা হয় শেষ
খুঁজে পাই একা থাকার মন্ত্রটার হিসেব-নিকেষ।
আপনার মন্তব্য লিখুন