এক,
বাইরে ভরা জোছনা। আকাশে এক থালা সাদা ভাতের মত চাঁদ। চারদিকে এক রূপালি আবেশ। এমন রাতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা ও ঘুরে বেড়াতে খুব ভাল লাগে। অনার্স ৩য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা সবেমাত্র শেষ। লেখাপড়ার চাপ নেই। সব মিলিয়ে স্বাধীন। এমন জোছনাই আমি ঘরে বসে থাকতে পারি না কারণ জোছনা আমার খুব প্রিয়। আজকের আনন্দটা ডের বেশি। তার অন্যতম কারণ আজ মিথিলা আমায় ফোন করে দেখা করতে বলেছে।
এক আনন্দময় জোছনা!
দুই,
সাত বছর পর।
অফিস থেকে ফিরে বেশ ক্লান্ত হয়ে যাই। আজকাল অফিসে কাজের চাপ একটু বেশি। তার উপড় বসের ঘ্যানঘ্যানানি। সকালে তাড়াতাড়ি যেতে হবে তাই রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম। মাঝরাতে কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যাই। আমার দু’বছরের বাচ্চাটা কয়েকদিন যাবৎ পেটের রোগে কষ্ট পাচ্ছে এবং আমাদেরও দিচ্ছে। মিথিলা শান্ত করার অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু সে কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। আমি বিছানা ছেড়ে জানলা খুলে বাইরে তাকালাম। জোছনা রাত। দেখলাম কয়েকটা ছেলে দলবেঁধে হাটছে। বাচ্চাটা কেঁদেই চলেছে।
বিরক্তিকর জোছনা।
এম.এ (বাংলা), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
পটিয়া, চট্টগ্রাম
আপনার মন্তব্য লিখুন