কবিতা

সেই || সাদ্দাম হোসেন

 

 

অনেক বসন্ত পেরিয়ে গেছে অনেক বসন্ত আসে গাছে গাছে জেগে ওঠে নবপত্র, ফুটে ওঠে নবপুষ্প; কিন্তু সুবোশিত গাছের সেই পত্র–

ফিরে আসে না আমার কাছে।

যার উপর ফুটিয়ে তুলেছিলাম ভালোবাসার চিত্র। এঁকেছিলাম রঙ্গিন ছবি।

ঝরে গেছে সেই, সেই পত্র– শুঁকিয়ে তার ভেঙে গেছে হাড়ের পাঁজর সমাদিত হয়েছে নর্দমাময় পুকুরে বুভুক্ষু পোকারা উল্লাস করেছে আহারের নেশায়।

কষ্টের শিখায় জ্বলেপুড়ে বেভুল হয়ে- নদীর কাছে যাই; দয়া করে সহযোগিতা করো আমার প্রেয়সী পত্রকে ফিরিয়ে পেতে, সে বললো, ‘ক্ষমা করো বিরহের কবি আমি নিরব-নিস্তব্ধ’।প্রবাহিত করে চলে অজস্র অশ্রু;আমারও বেরোয় কান্নার শব্দ নেমে পড়ে অশ্রুর ঢল।

পশ্চিমে হেলে পড়ে রক্তিম সূর্য পৃথিবীর বুকে চুমো খেতে চলে আসে অষ্টাদশী চাঁদ আর ভেসে আসে বুভুক্ষু শেয়ালের হাঁক; জোনাকিরা হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে ‘ধৈর্য্য ধরো কবি’।প্রদীপ হাতে হাউমাউ করে দৌড়ে আসে সফেদ শাড়ি পরা পরম-সুন্দরী মা বলে খোকা ওঠো! চলো বাড়িতে।

মা বলো; আমার পত্রকে কেন খুঁজো না আর, হাত বুলিয়ে দিতে? এখন আর বাবা কেন নিয়ে আসে না রশ্মিত হওয়া সপ্তরঙ।

মা, আমি কি ছবি আঁকবো না আর! আসবে কি আমার পত্র?

বলো, তবেই যাবো বাড়িতে!