মতামত

বুয়েট হত্যাকাণ্ড: ভিলেন তবে ছাত্ররাজনীতি!

অভিনু কিবরিয়া ইসলাম:

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের ঘোষণা এলো। বুয়েটের হলে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের টর্চার সেলে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার পর আন্দোলনের মুখে এই ঘোষণা দেওয়া হলো। বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠতে পারে। ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের ক্রমাগত অত্যাচার নির্যাতন ও সন্ত্রাসের মুখে ছাত্ররাজনীতি বন্ধকেই সমাধানসূত্র হিসেবে হাজির করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। এই দাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। যদিও বুয়েটের শিক্ষার্থীদের মূল ক্ষোভ ছিল লেজুরবৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে, সে বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে গোটা ছাত্ররাজনীতিকেই ভিলেন হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে।

কিন্তু ছাত্ররাজনীতিই কি সব সমস্যার মূলে? ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলেই কি সব সমস্যার সমাধান? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি তো নিষিদ্ধ। তবে সেখানে কেন নিষিদ্ধ উগ্রবাদী মতাদর্শের শিকার হচ্ছে ছাত্ররা? বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতি কি বন্ধ আছে? বন্ধ হয়েছে কি রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ? শিক্ষক নিয়োগেও কি রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পাচ্ছে না? যেসব নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করার অধিকার নেই, সেখানে কি শিক্ষার্থীরা দুধে-ভাতে আছে? সেখানে কি র‌্যাগিং নেই, নিপীড়ন নেই? ভাইদের দাপট নেই? তা তো আছেই, বরং রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার বদৌলতে সেখানে উগ্র ও নিষিদ্ধ মতাদর্শ চর্চার এক উর্বর ভূমিই তৈরি হতেই আমরা দেখেছি।

শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে-ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীনদের দাপট বন্ধ করা, গেস্টরুম-গণরুম বন্ধ করা, হলে মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন, দলবাজি না করে প্রশাসনের সঠিক ও ন্যায়নিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা, কোন শিক্ষার্থী অন্যায় অপরাধের সাথে যুক্ত হলে তার যথাযথ বিচার করা, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি বন্ধ করা এইসব সাধারণ কাজই কি যথেষ্ট নয়? ক্ষমতাসীনদের অপকর্মের জন্য গোটা ছাত্ররাজনীতিকেই বন্ধ করা কি প্রকারান্তরে ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নিয়োগকৃত প্রশাসনের জন্য কি স্বস্তির নয়? দলীয় প্রশাসনের একনায়কত্ব স্থাপনে আর তো কোন বাধাই রইলো না!

আমাদের জাতীয় রাজনীতিতেই তো অবক্ষয় নৈরাজ্য চলছে । নগর পুড়লে কি দেবালয় অক্ষত থাকে? রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই প্রতিহত করা যায়, নীতিহীন রাজনীতিকে মোকাবিলা করতে হয় আদর্শের রাজনীতি দিয়ে৷ অভিজ্ঞতা-ইতিহাস তো তাই বলে। অনেকেই বলবেন, ইতিহাস অভিজ্ঞতার দোহাই দিয়ে তো আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। সেটা সত্যি; কিন্তু এও কী সত্যি নয় যে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে রাজনীতি বন্ধ করা সমাধান নয়, বরং দরকার বেশি বেশি রাজনীতি?

এই বাস্তবতা কেউই অস্বীকার করবে না যে, রাজনীতি শব্দটা শুনলেই এখন কেমন যেন একটা ভীতি কাজ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে, সেই ভীতি কাজ করার পেছনে যথেষ্ঠ কারণও আছে। এটাও বাস্তব যে লুটেরারা-সন্ত্রাসীরাও রাজনৈতিক ব্যক্তি সেজে বসে আছে। এই সময়ে প্রচলিত কথায়, ‘পলিটিক্স করা’ বলতে বোঝায় চালবাজি করা, লোক ঠকানো, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া ইত্যাদি। এই নেতিবাচক প্রত্যয়গুলো একদিনে তৈরি হয়নি। এই ধারণা তৈরির পেছনে যেমন বাস্তব রাজনৈতিক পরিস্থিতি দায়ী, তেমনি মানুষের মনে রাজনীতিবিমুখ এই মনোভাব বদ্ধমূল করতে সচেতন ‘রাজনৈতিক’ এজেন্ডাও কম দায়ী নয়।

এত সব কিছুর ভীড়ে, অপরাজনীতি সর্বব্যাপী বিস্তারের কারণে আমরা ভুলতে বসেছি, প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি বিষয়টা আসলে কি? পলিটিক্স এর বাংলা আমরা করেছি রাজনীতি, যার অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় রাজার নীতি- অর্থাৎ শব্দের মধ্যেই কেমন একটা রাজা-রাজড়া সংক্রান্ত সামন্তীয় ধারণা সাধারণ মনে বদ্ধমূল হয়। অথচ পলিটিক্স শব্দের বাংলা অর্থে ‘রাষ্ট্রনীতি’ শব্দটি বোধহয় অধিকতর সংগতিপূর্ণ হত ৷ লাতিন পলিটিকাস (politicus) শব্দ থেকে পুরনো ফ্রেঞ্চ পলিটিক (politique) হয়ে উদ্ভুত হয়েছে ইংরেজি পলিটিক্স (politics), আবার যে পলিটিকাস শব্দটা আদতে গ্রিক পলিটিকোস (πολιτικός, politikos) শব্দের ল্যাটিনাইজেশন৷ গ্রিক পলিটিকোস এর সাথে যে দুটো শব্দের মিল পাওয়া যায়, তা এক হলো পলিটি (polity), যার অর্থ- রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কাঠামো। আরেকটি হলো পোলিস (polis) যার অর্থ নগর বা নগর রাষ্ট্র। মূল গ্রিক পলিটিকোস এর অর্থ দাঁড়ায় রাষ্ট্র বা নাগরিক সম্পর্কিত বিষয়াবলী।

তার মানে দাঁড়াচ্ছে রাজনীতি হলো রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়। রাষ্ট্র আবার একটা বিশাল আলোচনার বিষয়, এখানে তাতে যাচ্ছি না। তবে এটুকু বলা যায়, রাষ্ট্রের গঠন কিংবা তার চরিত্র ধ্রুব বা অপরিবর্তনশীল নয়, তা বদলেছে কালে কালে এবং এখনো বদলায়। এই রাষ্ট্র কীভাবে চলবে, কোন আদর্শে চলবে, কারা রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করবে সেগুলোই তো রাজনীতির বিষয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যই হতে হবে যে তাতে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত মতামতের গুরুত্ব থাকবে। যে রাষ্ট্র প্রতিমুহূর্তে তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে বল প্রয়োগের যন্ত্র হিসেবে, আইন প্রণয়ন ও তা প্রয়োগের মাধ্যমে, সেই রাষ্ট্র সম্পর্কে মতামত প্রদানের অধিকার সকল নাগরিকেরই থাকা দরকার।

আমরা চাই বা না চাই, যতদিন রাষ্ট্র আছে, আমরা রাজনীতির দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হই বা হবো৷ আমরা রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় থাকলে, নীতি নির্ধারণী জায়গায় সমাজের কিছু সুবিধাভোগী লোক আমাদের উপর ছড়ি ঘোরাবে। আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকরা রাষ্ট্রের মালিক৷ সেই মালিকানার চর্চা করে আমরা যদি রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীজন হিসেবে আমাদের অধিকর দাবি করতে না পারি, তাহলে ক্ষমতাসীন শ্রেণির কর্তৃত্বই তো আমাদের নিয়তি। আমাদের মধ্যে রাজনীতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করাটাও একটা ‘রাষ্ট্র সংক্রান্ত নীতি’ অর্থাৎ রাজনীতির অংশ, যে নীতিতে বিশ্বাসীরা নিজেরাই রাষ্ট্রক্ষমতাকে ভোগ করতে চায় এবং ব্যাপকতর মানুষ যাতে রাষ্ট্র পরিচালনায় নাক না গলায় সেটি নিশ্চিত করে। সুতরাং একটু ভাবলেই বোঝা সম্ভব, রাজনীতিতে সংকট দেখা দিলে তার সমাধান বেশি বেশি রাজনীতির চর্চা।

রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীজন হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া কি ব্যক্তিগতভাবে সম্ভব? আমি মনে করি, না৷ রাষ্ট্র বা সমাজবিজ্ঞান হলো একটা প্রয়োগমুখী বিজ্ঞান। শুধু তত্ত্বকথায় সমাজ বা রাষ্ট্র বা সমাজ বদলায় না। এলোমেলো ছোটাছুটি বা চিৎকার চেঁচামেচিতেও বদলায় না রাষ্ট্রীয় নীতি। এর জন্য দরকার আদর্শভিত্তিক সংগঠন৷ যারা দীর্ঘ ক্লান্তিকর সংগ্রামে মানুষকে সংগঠিত করবে সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে, যারা মানুষের কাছে নন্দিত ও নিন্দিত উভয়েই হবে, এবং ঠেকে ঠেকে শিখে তাদের নীতি ও আদর্শকে সৃজনশীল ভাবে প্রয়োগ করবে বাস্তব অবস্থা ও মানুষের কল্যাণ বিবেচনায় নিয়ে।

সেখানেই তো রাজনৈতিক দলের কাজ। রাজনৈতিক দলের মূল ভিত্তি হওয়ার কথা তার ঘোষণাপত্রে লিখিত নীতিসমূহ। সে কীভাবে দেশ চালাবে, তার রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের অর্থনীতি পরিচালনার মূলনীতি কী হবে, কোন আদর্শকে সামনে রেখে সে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়, সেটি প্রচার করবে রাজনৈতিক দল। তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সে জনগণকে সামিল করবে, তাকে বোঝাবে- এইতো রাজনীতি। জনসমর্থন পেলে সে রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে তার পূর্বঘোষিত নীতি বা আদর্শের বাস্তবায়ন করবে, সেটাই রাজনীতি।

তাহলে রাজনীতি কারা করবে? ছাত্ররা এই শ্রেণিবিভক্ত সমাজে তার অবস্থানগত কারণেই এই দুনিয়া সমাজ রাষ্ট্রকে বোঝার একটা বড় সুযোগ পায়। সে চোখকান খোলা রাখলেই, ছাত্রত্ব থাকাকালীন বা ছাত্রত্ব শেষ করে সে কোন ধরনের রাষ্ট্রের অংশীজন হতে চায়, সে সম্পর্কিত ধারণা তার মধ্যে জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণেই আমাদের দেশের অভ্যুদয় থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতির গতিমুখে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পেরেছে। আজকে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা ছাত্রদের রাজনীতি করার অপরাধে নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকৃত রাজনীতির অনুপস্থিতিই এই সংকট তৈরি করেছে। একজন শিক্ষার্থী যদি কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে, কোন নীতিতে দেশ পরিচালনা করলে সামগ্রিক মঙ্গল সে বিষয়টা সম্পর্কে চর্চা না করে, তাতে সুবিধা হয় সেই শ্রেণির, যারা মুখোশ বদল করে পালাক্রমে রাষ্ট্রটার কর্তৃত্ব নিজের হাতের মুঠোয় নিয়েছে।

রাজনৈতিক পরিসরকে সংকুচিত করা কোনো সমাধান নয়, বরং আজ রাজনৈতিক পরিসরকে বাড়াতে হবে। সত্যিকারের রাজনীতিতে অংশ নিতে হবে ছাত্রদের। শুধু ছাত্রদের নয়, এদেশের শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনতাকে উপলব্ধি করতে হবে রাজনীতি মানেই প্রচলিত অর্থে ‘পলিটিক্স(!)’ নয়, রাজনীতি চর্চা তার অধিকার, তার ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামের অংশ। এক শ্রেণি চাইবেই সমাজের অধিকাংশ মানুষকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে, শুধু ভোট প্রদান (তাও আজকাল ঠিকমত হয় না)-এর মধ্যেই তার অংশগ্রহণ সীমাবদ্ধ রাখতে। সেটাকেই তো ভাঙা দরকার।

কিন্তু এটাও ঠিক, এই দেশে ছাত্রসংগঠন, শ্রমিক-কৃষক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সংগঠনের নামে যা আছে তার অধিকাংশই লেজুরবৃত্তিক সংগঠন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ও ক্ষমতায় যেতে শাসকশ্রেণির দলগুলো এই সংগঠনগুলোকে লাঠিয়াল বাহিনীর মতো ব্যবহার করে। এইসব অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচিত হয় মূল দলের মূল নেতার ইচ্ছা ও সন্তুষ্টি অনুযায়ী। এদের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চা তো হয়ই না, ন্যুনতম গণতান্ত্রিক চর্চাও অনুপস্থিত। তারা যা করে, তা আর যাই হোক- রাজনীতি নয়, বরং রাজনীতির নামে দখলদারিত্ব কায়েমের চেষ্টা। শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের রাজনীতি চর্চার স্পেস তৈরিতে সংগঠন প্রয়োজন, সেই সংগঠনগুলো মতাদর্শবিহীন থাকতে হবে এমন নয়, বরং রাজনৈতিক মতাদর্শ চর্চার মাধ্যমেই তারা নিজ নিজ অঙ্গনের সমস্যার সমাধান করার উপায় খুঁজবে। নিজ নিজ অঙ্গনের মানুষের কাছে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করে, আন্দোলন করে, পলিসি ডিবেট করে অগ্রসর হবে। তাই তো হওয়ার কথা। বামপন্থী লেনিনিস্ট স্ট্রাকচারে ‘গণসংগঠন’ ধারণাটা অনেকটা এরকম। গণসংগঠনের একটা উদার পরিচালনা পদ্ধতি থাকে যার মূলে থাকে যে শ্রেণি বা পেশার অঙ্গনে এর কাজ, তার সাধারণ স্বার্থ হাসিল করা। এই গণসংগঠনের অগ্রসর কেউ কেউ রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়, যারা সেই গণসংগঠনের দাবিকে সমাজ পরিবর্তনের মূল সংগ্রামের সাথে অবিচ্ছেদ্য বলে মনে করেন। এই ধরনের সংগঠনগুলো রাজনীতি চর্চার পাঠশালা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ব্যাপকতর মানুষকে সরাসরিভাবে কোন রাজনৈতিক দলভুক্ত না করলেও রাজনীতি সচেতন ও অধিকার সচেতন করে তোলে।

বাংলাদেশকে বাঁচাতে গেলে রাজনীতিকে দূরে ঠেলে নয়, বরং এর চর্চার মাধ্যমেই একে বুঝতে হবে, বুঝতে হবে রাষ্ট্র পরিচালনায় কোন দল কোন নীতি প্রয়োগ করতে চায়। এটা বোঝা কঠিন, কেন মানুষ দেখেছে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারাই এসেছে, তারাই কমবেশি একই নীতিতে দেশ চালিয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও বিকল্প ভাবনা আছে কি না, কিংবা না থাকলে নিজেরাই বিকল্প হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিকে বদলে ফেলার জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার প্রয়োজনীয়তা আজ এদেশের নাগরিকদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

মাথাব্যথায় মাথা কেটে ফেললে সুবিধা নেবে সুবিধাভোগীরাই। বরং অপরাজনীতির বিরুদ্ধে বেশি বেশি রাজনৈতিক চর্চা হোক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র। রাজনীতি হোক সর্বজনের।