সাহিত্য বার্তা

কাব্যচন্দ্রিকা শিশুসাহিত্য পদক ’১৮ পেলেন নওগাঁ জেলার কবি ও ছড়াকার শফিকুল ইসলাম শফিক

কাব্যচন্দ্রিকা শিশুসাহিত্য পদক ’১৮ পেলেন নওগাঁ জেলার কবি ও ছড়াকার শফিকুল ইসলাম শফিক

স্টাফ রিপোর্টার:
শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘কাব্যচন্দ্রিকা শিশুসাহিত্য পদক’ পেলেন শিশুসাহিত্যিক কবি ও ছড়াকার শফিকুল ইসলাম শফিক। গত ২৫ মে ’১৮ রংপুর জেলার গংগাচড়া থানাধীন শেরপুর পুটিমারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রঙ্গনে ‘বাংলাদেশ কাব্যচন্দ্রিকা সাহিত্য একাডেমী’ কর্তৃক এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বেতগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুজ্জামান প্রমাণিক লিপ্টন’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সৈয়দ এনামুল কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি সন্তোষ কুমার দত্ত, কবি রাশেদ রেহমান, কবি মাহবুবুল ইসলাম, কবি মতিয়ার রহমান প্রমুখ। আলোচক ছিলেন কবি সাঈদ সাহেদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, একাধারে ছড়াকার, কবি, লেখক ও শিশুসাহিত্যিক শফিক। এছাড়া রম্যরচনাও লেখেন। ১৯৯১ সালের ১১ জুলাই নওগাঁ জেলার সদর থানার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের কনইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতার নাম জসিম উদ্দিন ও মাতার নাম সুফিয়া বিবি। ২০১৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ২০১৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। প্রায় দুই শতাধিক ছড়া-কবিতা ও গল্প বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক-সাপ্তাহিক পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন ম্যাগাজিনসহ সাহিত্যের ছোট কাগজে প্রকাশিত হয়েছে।

অতঃপর ২০১৭ সালের ১ মার্চ ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’র ‘ইষ্টিকুটুম’ বিভাগে ওস্তাদ কবি ও ছড়াকার আল-মাসুদ হক মিঠুল’র সঙ্গে তাঁর একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। লেখালেখির সুবাদে ধীরে ধীরে পরিচয়। এরপর দীর্ঘদিন থেকে তিনি তাঁর সাহচর্য লাভ করেন।মূলত সেখানেই তাঁর লেখার হাতেখড়ি। ওস্তাদই সর্বদা উৎসাহ যোগানের কাজ করেছেন।

তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি ওস্তাদের কথা বারবার স্বীকার করেন। ওস্তাদ যদি উদ্যোগী না হতেন, তাকে উৎসাহ না দিতেন তাহলে হয়তো তার জীবনের চলার পথটা ভিন্ন হতো। এই রঙিন ভূবনে তার হাঁটা হতো না। কিন্তু ওস্তাদের জন্যই তিনি এই সময়ের শফিকুল ইসলাম শফিকে পরিণত হয়েছেন। লেখালেখিতে তিনিই তাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা ও নিত্য নতুন কৌশল শিখিয়ে যাচ্ছেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ গল্প: আমাদের গণিত স্যার, তমার চশমা, মুশফিকার ছুটির দিনে, ময়না পাখি, পাদুকা, একটি সাইকেল, সোনার ছেলে, শৈশবের সেই দিন, হারানো দিনের ভূত ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ ছড়া-কবিতা: শরতের ফুল, দুরন্তপনা, ঋতুর রানী, বৈশাখী মেলা, পদ্মা নদী, নতুন বই, ঈদ এসেছে, বইমেলা, স্বাধীনভূমি, ঈদের ছুটি ইত্যাদি।

তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ ‘শরতের ফুল’ (অপ্রকাশিত)। গল্পগ্রন্থ ‘উনুমুনু টুনুমুনু’। এটি আগামী একুশে বইমেলা ’১৯ সালে প্রকাশিত হবে। তিনি ‘দৈনিক ভোরের কাগজ’র ‘পাঠক ফোরাম’র একজন সদস্য। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত।