কবিতা

কল্পনার নদীর মত নারী || পিতাম্বর ধনঞ্জয় ঘোষাল

বসে বসে ভাবে সে এক নারীর কথা
সে কেবল নদী হয়ে যায়।
নদীর মত ভাসিয়ে নিয়ে যায়
কোনো এক অকুল দরিয়ায়
স্বপ্ন গুলি ভাসে মনের মুকুরে,
হাতধরে বলা হলনা–
“চল বাঁচি নতুন করে”;
আমি ভাসতে চেয়েছিলাম
সেই গভীর নারীর সাথে
তবুও সে চলে গেল অন্য
এক অচিন ঘাটের বাঁকে
আমি কোথায় খুঁজি তাকে !
আমার মন মানে না
মন মানে না কোথায় গেছে চলে!
আমি কেবল ছুটতে থাকি–
তারেই পাবো বলে ;
আমি তার ঠোঁট ও চিবুক ছুঁয়ে
মরমী পরশ দিয়ে,আলতো করে
ঠোঁটে ঠোঁট ঠেকিয়ে দিয়ে
নীরব হয়ে থাকি
চমকে উঠে ভাবি,স্বপ্ন নাকি?
হঠাৎ সে নদীর মতো ছল ছলিয়ে
ধারায় বয়ে যায় ;
আমি কেমন যেন অবাক হয়ে যাই
কোথায় সে যে উধাও হয়ে যায় ! ঠোঁট ,চিবুক,বক্ষ ছুঁয়ে তার
নিবিড় খোলা চুলে খুঁজি
এই খানেতে বুঝি ?
নাকি অন্য কোথায় চলে গেছে
অন্য কোন উৎস মুখে
নতুন করে ঝর্ণা ধারার সুখে!

সেকি তবে পাখি হয়ে যায়?
নারী যদি হয়? তবে–
নারীত্ব তার জাগেনা কেন হায় ?
নরম মন,কোমল বুক সব
ছুয়েও তাকে পাইনা কেন!
পাইনা কেন হায় ! এমন কেন
বেদন রোদন চক্ষু জ্বলে যায়
সে কোথায় থাকে হায়?

কোন আঁধারে আলো খোঁজে
কেউ কি সে সব বোঝে ?
কোন কবোষ্ণ জলে ডোবায়
আলতা রাঙা পা জলের তলায়
রাঙা পায়ের রঙ ছাড়েনা
আমার কেন মন মানে না ?
তবে কি সেই স্বপ্ন নদী নাই
সারাটি দিন ভাবছি আমি তাই
সকাল বেলার রোদের মত
ঝরিয়ে সোনা অবিরত
সোনালী রোদ গায়ে মেখে এসে
সোনার মেয়ে আসবে মিষ্টি হেসে
টোল ফেলে তার গালে —
সারা অঙ্গ ভিজিয়ে নদীর জলে
বলবে এসে-নদীর সাথে ভেসে
আমরা দুজন সুখের হাসি হেসে
চল্ চলে যাই অকূল দরিয়ায়
যাবি আমার সাথে-আয় চলে আয়
স্বপনপুরীর স্বপ্ন মাখা দেশে
থাকবো শুধু জলকে ভালবেসে।

উখরা। বর্ধমান।
পশ্চিম বঙ্গ।ভারতবর্ষ।