আজ অনেক দিন হলো গ্রামের বাড়িতে যায়না
রাতুল,
রাতুলের মন খুব খারাপ।
এইতো কিছু দিন আগের কথা কতো হাসি খুশি-ময় ছিলো রাতুল এর জীবন,
রোজ সকালে উঠে অযু করে বাড়ির পাশের মক্তবে যাইতো কোরআন শরিফ পড়তে।
আর মক্তব শেষে,বাড়িতে এসে সোহাগ,রাসেল,ফাহিম,সব বন্ধুদের সাথে নিয়ে পুকুর জলে সে কি ডুব সাঁতার খেলা।
চোঁখ লাল করে তবেই পাড়ে উঠে বড়িতে চলা।
এর পর মায়ের হাতের রান্না করা খাবার,
কখনো লাল শাক,কখনো টাটকা পুঁটিমাছ এর ঝোল,আর গরম ভাত।
পেট ভরে শান্তিতে খাওয়া শেষ করে,স্কুল এ চলে যাওয়া,
সবুজ শ্যামল পথ,সারি সারি গাছ,রাখালিয়ার বাঁশির সুর,সবুজ ক্ষেতে ধানশালিক আর বাবুই পাখির ঝাঁক,শাপলা ফোটা পদ্মবিল,
আহা কতো সুন্দর না ছিলো,রাতুল এর শৈশব এর সেই দিন গুলো।
ইট পাথরের এই শহরে,অবেলায় খুব বৃষ্টি হচ্ছে
দাড় কাক এক টানা কা কা শব্দ করে ডেকে চলছে
রাতুল এর খুব মনে পড়ছে,অতিত সেই স্মৃতি গুলো
বৃষ্টি বিকেল,ফুটবল নিয়ে মায়ের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে
কাঁদা মাটিতে ছুটে চলা বন্ধুদের সাথে কাটানো সেই প্রিয় মহুর্ত গুলো আজ খুব মনে পড়ছে রাতুল এর।
আহা হেমন্ত আবার ফিরে এলো,মাঠে মাঠে সবুজ ফসল,
পাখির ঝাঁক,
নদীর তীরে সাদা বক এর শিকারীর অপেক্ষায় বসে থাকা,
দুষ্টর দল এর লুকোচুরি খেলা।
গাছে গাছে নতুন ফুল,পল্লি গাঁয়ে খেঁজুর এর রসা
হিম শীতল বাতাস,আজ সব কিছু খুব খুব মনে পড়ছে রাতুল এর।
হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল রাতুল এর,
বাসের জানালা খুলে তাকিয়ে দেখে রাস্তার আশে পাশে সোধা মাটির ঘ্রাণ,
খুশিতে চোখ জল জল করে উঠলো রাতুল এর,
আর একটু পরেই সে ফিরে যাবে তার সেই সবুজ শ্যামল গাঁয়ে।
আপনার মন্তব্য লিখুন