শ্রাবণ তুমি কতো যে নদীতে প্রাণ ভরে দিলে!
কতো মৃত নদী আবার জেগে উঠলো–
সদ্য যুবতীর মতো;উচ্ছল চঞ্চল বেণী
দুলিয়ে দুলিয়ে তারা ছুটে চলেছে –
কোন্ সুদূর কোন এক পর্বতের চূড়া হতে নেমে
সেই কুমারী নদী গুলি এতদিনে পেয়েছে যৌবন ;- তাই আজ কোন বাধা নেই,কোন মানা নেই-
সজীব মাটির সুগন্ধ আর জল;
মুকুলিত ধরণীর প্রসন্নতায়
আজ হৃদয় পুলকে জেগে আছে ঠিক তোমার ফেরার মতন ।
তবুও শ্রাবণের ঝরা বাদল
ব্যথা এনে কারো হৃদয় কাঁদায় –
হয়তো কেই ক্ষণিকের তরে এসে চলে যায়–ঠিক নদীর বানের মতো।
কেউ হঠাৎ এসে চলে যায়
শুধু ভরা নদীর বানের মতো
এক বুক বেদনা রেখে
সে কেন চলে যায় !
কেন সে হঠাৎ হারায় !
হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে-
ঘুমের গন্ধ আর রাত্রির গন্ধ
লেগে থাকে সারা গায়
শুধু তুমি নেই —
তখনও শ্রাবণের জল
তখনও নদী উচ্ছল
শুধু তুমি নেই ;
তখন অন্ধকার ভরা
তখন শ্রাবণের ধারা
নদীর বুকে জল
জলের ভিতরে জল
নদীর ভিতরে নদী
তখন তুমি থাকতে যদি।
পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
আপনার মন্তব্য লিখুন