মতামত

বাস্তবতা বুঝি এমনি! | জেরিন আক্তার রানী

শিশুটি জন্মেছিলো এক গরীব ঘরে, ফুটফুটে দেখতে চোখ-জোড়ায় বিরাজ করছিলো অজস্র স্বপ্ন। কিন্তু নিয়তির খেলা তার স্বপ্নের মূল্য দেয়নি। ছেলেবেলা থেকেই কষ্টের বেড়াজালে বন্দি সে। অভুক্ত থাকার নির্মম সে কি কান্না তার। মায়ের আফসোস এই সুদর্শন নিষ্পাপ শিশুটি কেন জন্মনিলো তার ঘরে ।

সহ্য হচ্ছেনা বাচ্চার সেই নিদারুণ আহাজারি। বাবা অটিস্টিক। তাই হাত পেতে আর কাজ করে কিছু পাচ্ছে, যা দিয়ে যাচ্ছে দিন কোনো রকম। আর তাই সে বেড়ে উঠতে উঠতে ভুলে গেছে বড় হওয়ার স্বপ্ন। শুধু চিন্তা কিভাবে একটু খেয়ে বেঁচে থাকা যায়। তাইতো মায়ের সাথে তাকেও কাজে লেগে পড়তে হয় মানুষের বাসায়।

ঠিক যখন তার পড়ালেখায় হাতেখড়ির ,খেলাধুলার সময়। সে ঐ বাসার বাচ্চাদের খেলা আর পড়াশোনার দিকে ফ্যালফ্যাল করে করুণ ভাবে তাকিয়ে রয়। কেউ সে দৃশ্য অবলোকন করেনা, সেও ভাবে গরীব হয়ে এসব মিথ্যে স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। এভাবেই ঝড়ে যায় কত শিশু কেউ সাহায্যের হাতটা বাড়িয়ে দেয় না ।

নিজের বিবেককে প্রশ্ন করি কতটা সার্থপর আমরা । ইচ্ছে করলেই পারি স্ব স্ব স্থান হতে তাদের ছোট্ট স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে। এমনকি তাদের সেই আনন্দ অশ্রুজলই হবে আমাদের জীবনের পরম পাওয়া।