সকালের রোদ্দুর হতে পারতো যে শিশুটি
সে এখন বইয়ের স্তুপে বন্দী জীবন্ত মূর্তি,
বিদ্যার ছোট্ট কুলি, বই খাতায় ব্যাগ ভর্তি,
খোলা আকাশ কী দিতে পারে তাঁকে মুক্তি।
ওর বয়সী অনেকেই যখন খেলা করে মাঠে
সকালের কাঁচা রোদ মাখে ফুল ফসলের সাথে,
সে তখন তাকিয়ে থাকে শূন্য আকাশ পানে,
সেকি আদৌও জানে তাঁর স্বাধীনতার মানে।
যে কিশোরী স্বপ্নের কুড়িঁগুলো সাজিয়ে রাখে
প্রত্যাশার ফুলে কাংক্ষিত ছোঁয়া পাবে বলে,
সে যখন ধর্ষিত হয় কোনো কাপুরুষের কাছে,
তাঁর কাছে স্বাধীনতার মানে কী কিছু আছে!
সদ্য বিবাহিত মেয়েটি যখন তাঁর সমস্ত ইচ্ছে
পুড়িয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে চায় স্বেচ্ছায়,
বারবার হেরে গিয়ে বন্দী এক জীবন কাটায়,
স্বাধীনতা তাঁর কাছে তখন কী বার্তা পাঠায়!
বেকারত্বের বেড়ি পায়ের যে ছেলেটা অর্থাভাবে
কখনও পারে না তাঁর প্রেমিকাকে স্পর্শ করতে,
ভালোবাসা হারিয়ে যায় যমুনার তীব্র স্রোতে,
স্বাধীনতা কী সুখ দিতে পারবে সেই ছেলেটিকে!
স্বাধীনতার মানে কি জানে দিনমজুর আয়া-বুয়া
ছুটতে ছুটতে হারিয়ে যাওয়া সেই বস্ত্রবালিকা,
স্বাধীনতা কী রাখবে আমার দীপ্ত অংগীকার,
কথা বলা আর কবিতা লেখার পূর্ণ অধিকার!
-তারিখঃ ০৪/১০/২০২২
আপনার মন্তব্য লিখুন