বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজগুলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতোই সরকারী প্রতিষ্ঠান, তা সে বিদ্যালয় সমূহ সরকারি হউক আর বেসরকারীই হউক।
এখান থেকে আপনি যে সরকার বিরোধিতা আশা করেন সে বিরোধিতা হচ্ছে অপেক্ষাকৃত দুটি খারাপ দলের মধ্য থেকে একটি দলকে বেছে নিয়ে তার বিরোধিতা। যারা সরকার ছিলেন আর যারা সরকার হবেন।
পাঠশালাগুলি মিডল ক্লাস ক্ষমতা কাঠামোর এই টিং টং ছন্দের বাইরে যাবে না।
কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়রে মাথায় তুইলা রাখবেন আবার দেশের মানুষের রাজনীতিও করবেন তা হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তথা মিডল ক্লাসের সদস্যদের মৃত্যুকেই আপনারা রাজনীতির মুখ্য উপাদান কইরা নিছেন, তাই সব শেষ হইয়া গেল এই রকম লাগে আপনাদের।
বস্তুত আরো বহু আগেই সব শেষ হইয়া আছে!
দেশে আর যাদের মারা হচ্ছে তারা কেন আপনাদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের, রাজনীতির অংশ নয় সেই গোমরের মধ্যেই খোদিত আছে ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর সমস্যাকে দেশের মানুষের সমস্যায় নির্বাচিত করার বিশ্ববিদ্যালয় তথা মিডল ক্লাস রাজনীতি।
আমি যা বলতে চাইতেছি, এই বিবেচনায় প্রকরণগত ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ আর ফ্যাসিবাদী সরকার এরা অভিন্ন।
এখানকার রাজনীতি ছাত্রসমাজ বা সমাজরে পুরাই আড়াল কইরা কেবলই সরকার বিরোধী বইলাই এই চক্র সমাপন সম্ভব হবে না। ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচারের উচ্ছেদও এ কারণেই অত সহজ হবে না।
সে কারণেই দরকার সাংস্কৃতিক রাজনীতির। যে রাজনীতি কেবল ইউনিভার্সিটিগুলিকেই দেশের বিবেক বা মনন আকারে গ্রহণ করবে না। তবে এই সাংস্কৃতিক রাজনীতির শুরুটা করতে হবে ইউনিভার্সিটি থেকেই।
এবং দেশে তো অনেক ইউনিভার্সিটি আছেই, তাই না?
আপনার মন্তব্য লিখুন