বেশী কিছু দিতে পারবো না বুঝেছো ?
হাজার টাকার শাড়ি আর বেশী হলে ২শো দিতে পারি অন্যান্য খরচ বাবদ ।
না হয় ম্যাচিং করে ইমিটেশন আর জুতা কিছু দিন পরেই কিনলে ?
হাত ভর্তি সোনার বালা হয়তো দিতে পারবো না তোমায় ।
কিন্তু কথা দিচ্ছি, রাত গভীরে ফোটা প্রথম বকুল ফুলগুলো
একত্রে করে খুব সকালে বালা বানিয়ে দেব সাদা সুতার আলিঙ্গনে নিজ হাতে।
তোমার নাকে যে ছোট নত আছে ।
সেটাও হয়তো মুল্যবান সোনা দিয়ে গড়ে দিতে পারবো না ।
কিন্তু শীতকালে ফোটা দেশী বড়ইয়ের শিশির ভেজা ফুল এনে তোমার নাকের ছিদ্রে গুজে দেব । তখন তুমি হাসবে না কি রাগ করবে আমি শুধু চুপ করে তা দেখবো ।
খোঁপা বেঁধে যে লাঠি গুজে দাও তুমি চুলে ।
সে লাঠিটা যদি হাতির দাঁতের হত তবে আমার খুব ভালো লাগতো ।
সে তো আর আমি দিতে পারবো না তবে বান্দরবান থেকে আনা চিকন বাশের
লাঠি আমি নিজ হাতে কারুকাজ করে পেছনটায় ময়ূরের পেখম লাগিয়ে দেব ।
তুমি সেটা চুলে গুজে ঠোঁট চেপে কিভাবে হাসবে আমি সেটা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখবো।
কথা দিয়েছিলাম পায়েল কিনে দেব ।
সেই দিন থেকেই ছেড়ে দিয়েছি ধুম্রপান ।
দিন শেষে কখনো ষোল টাকা আবার কখনো চব্বিশ টাকা বেঁচে যায় ।
আর কিছু দিন হলেই সেগুলো হাজারের ঘড় ছাড়িয়ে যাবে ।
তখন আমরা সুপার মার্কেটে যাবো এক রিকশায় ।
বল তো আমরা কেনো যাবো ?
সামর্থ্য যতই থাক
আমি কিন্তু কখনো বড় বিছানা আর একের অধিক বালিশ কিনবো না ।
আমাদের সংসার হবে ছোট বিছানা আর এক বালিশের ।
এবার বল ভালোবাসি…
আপনার মন্তব্য লিখুন