লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
থাকবো না আর গাঁয়ে পড়ে
যাবো চলে এবার শহর পানে,
রোজগার করে আনবো টাকা
ভুলবো না আর পাখির গানে।
গাঁয়ে হেথায় রাঙা মাটির পথে
ক্যাঁচ ক্যাঁচ গোরুর গাড়ি চলে,
পিচে ঢালাই রাস্তা শহর জুড়ে,
ভরে ওঠে হর্নের কোলাহলে।
গান গেয়ে চাষী লাঙল চালায়
চাষীর ঘরে যে আজ অন্ন নাই,
শহর অভিমুখে ছুটছে সবাই
মাস ফুরোলেই যে টাকা পায়।
গাঁয়ের কামাররা পেটের দায়ে
দিন রাত বসে হাতুড়ি চালায়,
মেশিনে ঘুরিয়ে কাটছে লোহা
আসে না কেউ কামারশালায়।
গাঁয়ের তাঁতিরা ধুঁকছে রোগে
মরছে ওরা বিনা চিকিত্সায়,
তাঁতের শাড়ি কেউ পরে না
রেশমীশাড়ি যে সকলেই চায়।
গাঁয়েতে নামে সাঁঝের আঁধার
গহন রাতে অন্ধকার চারিধার,
আলোয় আলোয় শহর ভরা
হরেক রকম আলোর বাহার।
তবুও বলি এই গাঁয়ের মাটি
স্বর্গভূমি মাটি মা যে আমার,
আম কাঁঠালের ছায়ায় ঘেরা
বিশাল সবুজ খেত চারিধার।
গাঁয়ের কবি ডাক দিয়ে যাই
শহরে কেউ যেও না ভাই,
মাটির ঘরে আছে সুখ শান্তি
মাটিতে স্নেহের পরশ পাই।
আপনার মন্তব্য লিখুন