ব্যালকনির সংস্পর্শে এলেই যেন শোনা যায়
তুলে রাখা কথোপকথনের ফিসফিস শব্দ।
ওখানে জমানো থাকে অনেক না বলা কথা।
সেই না বলা কথাগুলোকে তখন ছুঁয়ে দেখা।
তারপর আবার যত্ন করে সেইখানেই গুছিয়ে রেখে দেওয়া।
ব্যালকনিতে ঘুরপাক খায় স্মৃতির দিনরাত্রি।
স্মৃতিগুলো ইশারায় ডাকে।
স্মৃতির ডাকে সাড়া দেয় মন।
মন নিজের মতো গড়ে নেয় ভাবনার পিরামিড।
তারপর পিরামিডের দেওয়ালে ইচ্ছেগুলো খোদাই করে রাখে।
ব্যালকনিতে দাঁড়ালেই বাতাস গায়ে মেখে
আসে পুরোনো কোনো পারফিউম। গন্ধটা বেশ চেনা।
গন্ধটা মনকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় চেনাজানা কোনো গলির অভ্যন্তরে।
তারপর ঘুরে ফিরে পারফিউমের মালিককে খোঁজে।
ব্যালকনিতে মাঝে মাঝে উদ্বেগের দীর্ঘশ্বাস পড়ে।
না বলা কথাগুলোর যে দায়িত্ব নিতে হয় তাকে।
তবে আংশিক নিশ্চিত যে,
সেখানে জমিয়ে রাখা না বলা কথগুলো একবার শুনে গেলেই,
হয়তো হারিয়ে যাবো সুদূরে কোনো নীলদিগন্তে।
আপনার মন্তব্য লিখুন