“কিন্তু আমি এখানে দক্ষ ও স্মার্ট ম্যানেজার কই পাবো?
– Excuse me sir, don’t judge a book by it’s cover.”
ইংরেজী জানলেই কি কেউ কাজে দক্ষ হয়ে যায় বা স্মার্ট হয়ে যায়? ইউরোপ আমেরিকায় অনেক ভবঘুরে, অকর্মার ঢেকিরাও ভাল ইংরেজী পারে। এই জন্য কি তারা দক্ষ এবং স্মার্ট হয়ে গেছে নাকি? দক্ষ ম্যানেজার হওয়ার সাথে ইংরেজী জানার কী সম্পর্ক? কেউ যদি ব্যবস্থাপনার কাজ ভাল পারে তাহলেই সে ভাল দক্ষ ব্যবস্থাপক বা ম্যানেজার। এর সাথে ইংরেজীর কী সম্পর্ক?
বহুজাতিক কোম্পানীগুলো ঠিক এইভাবেই ব্রিটিশ শাসনের মত সাধারন মানুষের মগজধোলাই করে দিচ্ছে যে ইংরেজী হচ্ছে স্মার্ট ও উপরের স্তরের আর বাংলা হচ্ছে নিচু স্তরের।
যারা খুব উচু মানের ভাল মার্কেটিং পাবলিসিটি এক্সপার্ট বা বাজারজাতকরণ এবং প্রচারণা বিশেষজ্ঞ তারা এই জিনিসটা বোঝে। এটাকে বলে সাবলিমিনাল ইফেক্ট। অর্থাৎ খুব সাধারণ নিরীহ একটা ছবি, দৃশ্য, কথা, শব্দ, বাক্য, সুর ইত্যাদি জিনিসের ভিতর গোপন আরেকটা বার্তা থাকবে যা গোপনে দর্শক, শ্রোতার মগজে ঢুকে ধীরে ধীরে পরবর্তীতে কাজ করা শুরু করবে ট্রয়ের ঘোড়ার মত, কিন্তু দেখা, শোনার সময় স্বাভাবিক ভাবে দর্শক, শ্রোতা এটা ধরতে পারবে না বিশেষ জ্ঞান এবং প্রচেষ্টা ছাড়া। এখানে রিনের বিজ্ঞাপনে ভার্বাল কভার্ট হিপনোসিস বা শব্দগত গোপন সম্মোহন এর মাধ্যমে মানুষের মনে এই সাবলিমিনাল মেসেজ/বার্তা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে “ইংরেজী হচ্ছে স্মার্ট, উচু, আর বাংলা হচ্ছে নিচু”।
শুধু সিনেমার সেন্সর করতে ব্যাস্ত আমাদের আইন, কিন্তু এই ধরনের আপত্তিকর এবং বাংলাকে অপমান করা বিদেশি বিজ্ঞাপনগুলো সেন্সর বোর্ডের আওতায় এনে নিষিদ্ধ করা উচিত।
ফেসবুক পোস্ট: July 3_2017
আপনার মন্তব্য লিখুন