টাপ টুপ শিশিরের ছন্দ নেই,পাখির কলতান,মোরগের কর্কট ধ্বনিতে ঘুম ভাঙার বিরক্তি নেই।শুধু পড়ে আছে ফেলে রাখা মোরগ আর পাখির খাঁচা দুটি।কি অবহেলা অনাদরে ঘুণ পোকার নিষ্ঠুর অত্যাচারে নিজস্বতা হারিয়ে পড়ে আছে ঠায়?কোন অভিযোগ নেই তার,অথচ এইতো কদিন হলো মা এটাকে কি যত্নেই না রাখতো এটা ভাবতেই ভাল লাগে যাদের জন্মই হয়েছে কোন নিচুতলার মানুষের হাতে আর এক নিচুতলার মানুষের ঘরে চলে যাবার জন্য সেখানে তো এ ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী।কি নিষ্ঠুর আমরা কি নির্দয় মানবজাতি!কি নির্দয় সময়ের বাস্তবতা?তবু কোথাও জানি একটা হাহাকার গ্রাস করে ফেলতে চায়? আমাকে আমার সত্তাকে।ভাঙা জানালার ফুটো দিয়ে শীতের প্রকটতা বেড়েই চলছে অনবরত। মায়ের আদর মাখা ছেঁড়া শাড়ীটার কাঁথা খানি মায়ের মতই আগলিয়ে রেখেছে আমায়।শীতের দাপটে কাঁপুনিটা বেড়েই চলছে, এলোমেলো চিন্তারা এসে ভীড় করছে আমার দুর্ভাগ্যের আঙিনায়।এ যেন পুরাতন ডায়েরীর কয়েকটি পাতায় এলোমেলো ব্যবচ্ছেদ।মায়ের কাছে ছুটে যাওয়া,বাবার সাথে বসে শীতের সকালে দুটো চাল ভাজা চিবাতে চিবাতে কালোজিরার এক কাপ গরম চায়ে চুমুক। কি কঠিন অভেদ্য শান্তজ সকাল?অতি সাধারণ আলতো ছোঁয়ায় বাবার কাঁধে হাত দিয়ে বলব”বাবা তুমি না অনেক ছোট হয়ে গেছো”।ঠিক তাফসীর মত।বাবাও তার ঠোঁটের এক কোনে হাসির লেশ ছড়িয়ে দিয়ে মায়ের উদ্দেশ্যে বলবে দেখেছো আমাদের ছোট্ট আজ কত বড় হয়েছে।রসিকতার ছলে বলে উঠব”সত্যিই তো বাবা এই দেখো আমি তোমার থেকেও বড় হয়ে গেছি।মা বলবে হয়েছে হয়েছে বেলা যে বেড়ে এলো ইত্যাদি ইত্যাদি।।
ভাবনার পরিধি বেড়ে চলে রোজ,কূল কিনারা হীন অসাড় সে ভাবনা।ব্যস্ততায় সময়ের সেকি অদম্য ছুটে যাওয়া চেয়ে চেয়ে অক্লান্ত প্রতিটি পদক্ষেপ।আজ অনেক দিন হয় বাড়ী যাওয়ার ইচ্ছে গুলো তাড়া করে বেড়ায় পিয়াল কে।এ তাড়না বড়ই নির্বোধ নীল জ্যোৎস্নার মত সকালের আকাশে মিলিয়ে যায় দূর বহুদূর ।শুরু হয় আর একটি কর্মময় দিন।ইচ্ছের পাখিগুলো বন্দি হয়ে থাকে নীল জ্যোৎস্নার গল্পের মত। ছুটে চলে দুরন্ত পথিকের ন্যায় কোন রাত জাগা পথিকের ভাবনাতে,
সেখানে তৈরি হয় আর একটি নীল জ্যোৎস্নার গল্প। এভাবেই নীল জ্যোৎস্নার গল্প গুলো তৈরি হয় একেকটি নীল জ্যোৎস্নার আলোয়।
ভাবনার আকাশ থেকে হঠাৎ মেঘ সরে যাওয়ায় পিয়াল হতচকিয়ে উঠল,পিছনে ফিরে একবার তাকিয়ে দেখল তারপর দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল,,,বেলা যে শেষ হয়ে এলো।
আপনার মন্তব্য লিখুন