তর্ণা তোমাকে ট্রেনে ওঠিয়ে দিয়ে রিকশা নিয়ে পাড়ার মোড়ে এসে দেখি
মানুষরা কী জানি ঘিরে ধরে লাল চোখ,আর শুকনো মুখ নিয়ে দেখছে।
আমিও একপা দুপা করে এগিয়ে দেখি ডাস্টবিন ভেতর সাদা বস্তার মুখ বের করে দিয়ে একটা মানুষ আকাশের দিকে চেয়ে আছে।
সবাই তাকে কী বলছে জানো?
সে নাকি লাশ!
চেনা যাচ্ছেনা তাকে।
সে কে?
কোন মায়ের খুব আদরের সন্তান?
কলিজার টুকরা আর নেই,
মা মেনে নিবে?
কোন গোছানো সংসারের একটা লক্ষী মেয়ের বর?
মেয়েটা কী মানতে পারবে,
তার সবচাইতে গোপন মানুষটি আর নেই।
মানতে পারবে সে?
না কোন ছোট্ট সোনামুনি তার জন্য অপেক্ষা করছে!
বাবা ডাকবে,
বাবা!
তাকে কী পৃথিবী বোঝাতে পারবে,
তার বাবা নেই!
কোন কিশোরীর কী অপেক্ষা
তার প্রিয়তমর জন্য।
কেন তাকে ফোন করছে না ভালোবাসা আর চুমু দেবার জন্য।
সে যে আর নীল শাড়ি পরা শরীরের গন্ধ শুকাতে পারবে না তাকে,
মেনে নিবে?
মেনে নিবে তর্ণা?
শহরটা হিংস্র হয়ে ওঠেছে তর্ণা।
খুব হিংস্র!
তুমি কিন্তু জানতে শহরটার কথা,
এই রকম শহরটা হবে তাও আমাকে বলেছিলে।
তাও চলে গেলে?
আমাকে একা ফেলে?
চলেই গেলে!
আপনার মন্তব্য লিখুন