আত্মকথা-১
✍ মানজারুল ইসলাম দুলাল।
প্রিয় মানুষ যখন দুরে চলে যায়,সে তখন আর প্রিয় হয়ে উঠেনা। আমার কথাগুলো যখন পুরানো হয় তখন দুর্গন্ধ ছড়ায়। আমি সাধারণ মানুষের মত চলতে চাই কিন্তু তারা আমাকে চলতে দেয়না তারা আমার কুৎসা রটিয়ে বেড়ায়,আমি কিছু সময় নিজেকে আড়াল করি তবু তারা আমার পিছু ছাড়েনি। আমাকে চলতে দেয়নি নিজের মত করে, আবদ্ধ হয়েছি কতকাল কেউ ফিরে দেখেনি তাই বলে কি আমি নষ্ট হয়েছি। না আমি কখনো নষ্ট হয়নি,নষ্ট হওয়ার কোন উপকরণ আমার দেহে ছিল না। তবে এটি বলতে পারি আমি বৈষম্যের শিকার হয়েছি।
আমি যখন চলতে শিখি বা নিজেকে নিজের মত সাজাতে শিখেছি তখন আমাকে আঘাত করা হয়েছে,হৃদয় নামক স্থানে।
আমার শৈশব কাটে পল্লী গাঁয়ে,সেখানে সময় কাটে প্রকৃতির সাথে গল্প করে। দু পাশে নদী মাঝ খানে চর সেই খানে ছিল আমাদের বাড়ী। আমাদের বাড়ী ছিল দুইটি একটি নদীর এই পারে যেখানে স্কুল, কলেজ ছিল যা পড়াশোনার পরিবেশটাও বজায় ছিল। কিন্তু আমার ভাল লাগতো চরে থাকতে কারণ সেখানে মানুষগুলো সহজ সরল, সত্যবাদী হয়।
তাদের সাথে গল্প করে অনেক মজা লাগতো। প্রতি জ্যোৎস্না রাতে গল্পের আসর বসতো নতুন নতুন গল্পের। আমি খুব মনযোগ সহকারে সেই কাহিনী গুলো শুনতাম।
চন্দ্রিমা রাতে বালু চরে গোল্লাছুট, কানামাছি এই খেলাগুলো খুবই আনন্দদায়ক। কিছু সময় আসে হারিয়ে যাওয়া, লুকিয়ে লুকিয়ে অন্যকে খুঁজে বের করা। খুঁজে পেলে হর্ষ ধ্বনিতে মেতে উঠা,
এই ভাবে চলে অর্ধ রাত্রি পর্যস্ত লুকোচুরি খেলা।
সকাল হলে আবার নদীর তীরে গিয়ে কলার গাছের ডগা দিয়ে নৌকা তৈরি করে স্রোতে ভাসিয়ে দেওয়া।
জীবনের কিছু সময় কাটিয়েছি চরে স্মৃতির বস্তা নিয়ে ফিরেছি,,,,,,,,,,
চলবে—->
রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম
আপনার মন্তব্য লিখুন