ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি ধারণ করে নেয় এক বর্ণিল সাজ। বসন্তের বহন করে আনা অফুরন্ত সৌন্দর্য সে প্রকৃতির বুকে উজাড় করে ঢেলে দেয়। প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজাতে সাজাতে তার এক সময় বিদায়ের দিন ঘনিয়ে আসে। বসন্তের রঙিন উৎসব দোল চলে গেলেই মনে হয় ঋতুরাজ বসন্ত এবার ফেরার উদ্যোগ নেবে। কিন্তু দোল চলে গেলেও তার অস্তিত্ব কিছুদিন পর্যন্ত বজায় থাকে। শহর এবং শহরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে অনুষ্ঠিত হওয়া বসন্ত উৎসবের মাধ্যমে।
এই অনুষ্ঠানগুলোর জন্য দোলপূর্ণিমার আবিরের একটা রেশ থেকেই যায়। এ শহরের ধুলোমাখা বাতাসে মিশে যায় দোলের আবির। তাই আবিরের দাগ তখনও ফিকে হয় না। এই অবিরের সঙ্গে মিলিয়ে যায় অনেক গোপন অনুরাগ। বাতাসে ছুঁয়ে থাকে আবির মিশ্রিত অনুরাগ। আর এই অনুরাগ ছুঁয়ে দেয় বাকি ঋতুদের। তাই বসন্ত বিদায় নিলেও প্রণয়ের ইস্তেহার সব ঋতুতেই হয়ে থাকে। সব ঋতুই আপন ক্রিয়াকলাপে প্রকৃতিকে উদ্ভাসিত করে যায়। তাও যেন বসন্তের সঙ্গে আলাদা একটা সংযোগ থাকে। বসন্ত জানে যে প্রকৃতি তার একান্ত অনুগত। তবুও ফিরতে হয় ঋতুচক্রের নিয়ম অনুযায়ী। কারণ সর্ব সময়ের জন্য তার থাকার অনুমতি নেই। তার পেছনেই অপেক্ষা করতে থাকে গ্রীষ্ম।
বসন্তের ফেরার মুহূর্তে প্রকৃতির বুকে নামে বিষণ্ণতা। সেই বিষণ্ণতা মুছিয়ে দেয় গ্রীষ্মের সব উৎসবগুলো। আর যেতে যেতে বসন্ত প্রকৃতিকে কথা দিয়ে যায় আগামী বছর সে অন্যরকম কিছু নতুন ভাবনা এবং যথারীতি যেইরকম সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে নিয়ে আসে সেইরকমভাবেই আবার আসবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন